হঠাৎ করে জীবনে আসা।
হঠাৎ করে জীবনে আসা।
লেখিকা বিজয়লক্ষ্মী ঠাকুর |
লেখিকা : বিজয়লক্ষ্মী ঠাকুর
কিছু মানুষ হঠাৎ করে আচমকাই জীবনে আসে। তাদের প্রতি এতো বেশি মায়া, ভালবাসার টান কাজ করে, আমরা যদি জানতে পারি ওই মানুষটাকে হারাতে চলেছি জীবনের গল্প থেকে, তাহলে আমাদের পুরো জীবনটাই এলোমেলো, অগোছালো লাগে। মুহূর্তেই ভেঙে পরি। কারণ ওই মানুষটাকে নিয়ে আমরা অনেক প্রিয়দিন কাটানোর স্বপ্ন দেখে ফেলি। তাই পাগল পাগল লাগে। সে মানুষটাকে চিরকালের জন্য নিজের কাছে ধরেবেঁধে রাখতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু বেশি মায়া আর ভালোবাসার সম্পর্কগুলোই এমন,- যাদের আমরা সারাটা জীবন নিজের করে আকড়ে ধরে ভালবাসায় ভরিয়ে রাখতে চাই, তাদেরই আমরা খুব কম সময়ের জন্য জীবনগল্পে কাছে পাই। আজীবন কাছাকাছি থাকতে চাইলেও অজানা কারণে ওই মানুটাকে ছাড়াই আমাদের বাকি জীবন কাটাতে হয়। আমাদের জীবনে একটা সময় আপন পর সবাই থাকে, কিন্তু ওই মায়ার মানুষটা বাদে। অথচ মন তাতেই পরে থাকে। পথের দূরত্ব বাঁধা সৃষ্টি করলেও, মনের টান ফুরায় না। আজন্ম থেকে যায় মায়ার বাঁধোন।
আর যদি উল্টো চিত্র ঘটে! মায়া,ভালোবাসার মানুষটি আমাদের জীবনে সত্যিই থেকে যায়। তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়তো সম্পর্কে টান ফুরিয়ে আসে,আন্তরিকতা লোপ পায়। মায়া,ভালবাসা ফিঁকে হতে থাকে দিনকে দিন। এ কারণেই বোধহয় মায়ার সম্পর্কগুলো পরিণতি পায়না।মায়ার সম্পর্কের শেষ পরিণতি কান্নায় সমাপ্তি হয়। কিন্তু ওই মানুষটা মনের মনিকোঠায় থাকে আজীবন। শুধু তারে নিজের করে পাওয়া হয়না আর,ওই মানুষটাকে শেষে গিয়ে আমরা হারিয়ে খুঁজি। তাকে ভেবে ছন্নছাড়া লাগে, কতোশত অবসর কাটে, হঠাৎ করে তারেই মনে পরে, চোখ ভেজে অশ্রুজলে, অথচ জল মুছবার সেই থাকেনা জীবনে। জীবন বড় অদ্ভুত, ভীষণ অদ্ভুত! জীবনে একে একে সব পাওয়া হয় শুধু ওই মায়ার,ভালোবাসার মানুষটা বাদে। কারণ সব পেলে নষ্ট জীবন!
রাইট মায়া লাগে